প্রকাশ :
২৪খবর বিডি: 'পদ্মা সেতুতে চলার সময় গাড়িতে আগুন লাগলে তা নেভানোর ব্যবস্থা থাকছে। সেতুর দুই প্রান্ত মাওয়া ও জাজিরায় থাকবে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম। সেতুর নিচতলায় (লোয়ার ডেক) ট্রেন চলার সময় দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীদের নিরাপদ বহির্নির্গমনে রয়েছে বের হওয়ার সিঁড়ি। মূল সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের ২৪খবর বিডিকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।'
-মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার হলেও নদীর দুই পাড়ে আরও ৩ দশমিক ১৪ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট (মাটির ওপর উড়াল অংশ) রয়েছে। ৯ দশমিক ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর ওপরতলা (আপার ডেক) ৭২ ফুট প্রশস্ত। এতে রয়েছে চার লেনের সড়ক ও দুই পাশে আড়াই মিটার করে প্রশস্ত শোল্ডার।
পদ্মা সেতুর নিচতলায় ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইনে চলবে ট্রেন। পদ্মার মূল সেতুর ১ ও ৪২ নম্বর পিলারের (খুঁটি) সঙ্গে রয়েছে নিচতলা থেকে জরুরি বহির্গমনে দুটি এক্সিট সিঁড়ি।
'সেতুর মাঝামাঝি এলাকায় সিঁড়ি নেই। যদিও রেল কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল, মূল সেতুতে দেড় কিলোমিটার অন্তর বহির্গমন সিঁড়ি। অর্থাৎ মূল সেতুতে চারটি সিঁড়ি নির্মাণ করতে চেয়েছিল রেলওয়ে।'
পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে থাকবে অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা
-মূল নকশার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আখ্যা দিয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ দুটি সিঁড়ি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে। এ দুই সিঁড়ি সেতু বিভাগই নির্মাণ করেছে ১ ও ৪২ নম্বর পিলারের সঙ্গে। দেওয়ান আবদুল কাদের জানিয়েছেন, ভায়াডাক্ট এলাকায়ও জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি রয়েছে। এ হিসাবে প্রতি তিন কিলোমিটার অন্তর তিনটি সিঁড়ি রয়েছে।
'আগামী ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত শনিবার সেতুতে প্রথমবারের মতো আলো জ্বালানো হয়েছে। প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ) সাদ্দাম হোসেন ২৪খবর বিডিকে জানিয়েছেন, গত রোববার আরও ১৮টি ল্যাম্পপোস্টের বাতি জ্বালানো হয়েছে। শনিবারের ২৪টিসহ দুই দিনে মোট ৪২টি ল্যাম্পপোস্টের বাতি পরীক্ষামূলক জ্বালানো হয়েছে। মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্টের বাতি আগামী কয়েক দিনে পর্যায়ক্রমে জ্বালানো হবে।'